শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ, ১৪৩১
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি।।
সুনামগঞ্জের ছাতকে বাড়ীর লোকজনের চলাচলের রাস্তায় পাকা দেয়াল নির্মান ও বসত বাড়িতে অনাধিকার প্রবেশ করে হামলা, নগদ অর্থ লুটপাঠ, গাছপালা কাটা ও মারধর করে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার (২৪ মার্চ) উপজেলার গণিপুর গ্রামে এ হামলার ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় গ্রামবাসীর মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগী পরিবার সুত্রে জানা যায়, গণিপুর গ্রামের মৃত. তজমুল হোসেনের ছেলে রিজ্জাদ হোসেন এর বসত বাড়ীর দক্ষিনে চলাচলের রাস্তাটি পাকা দেয়াল নির্মান করে বন্ধ করার চেষ্টা করেন একই গ্রামের সিরাজ আলী পীর এর ছেলে জুমান আলী পীরসহ অন্যান্য সহযোগীরা। এতে রিজ্জাদ হোসেন বাঁধা প্রদান করিলে তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন জুমান আলী পীরসহ তার অন্যান্য সহযোগীরা। তারা রিজ্জাদ হোসেনকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেন। অভিযোগ উঠেছে এ ঘটনার জের ধরে গত বুধবার (২৪ মার্চ) সকাল আনুমানিক ৮ টার দিকে জুমান আলীর নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ চক্র দা, রামদা, রড ও দেশীয় অ¯্র নিয়ে রিজ্জাদ হোসেন এর বসতবাড়িতে অনাধিকার প্রবেশ করে ঘরে দোয়ারে হমালা করা হয়। এ ঘটনায় কাজী শওকতুর রহমান, কাজী মিসবা হোসেন, ছাদিকুর রহমান চৌধুরী, কাজী দিলদার হোসেন, কাজী মিজান, কাজী আমিন হোসেনসহ ৮ জন আহত হন। গুরুতর আহতদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, অন্যান্য আহতদের স্থানীয় কৈতক হাসপাতালে ভর্তী ও চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, হামলার সময় প্রতিপক্ষের লোকজন রিজ্জাদ হোসেন এর ভাবী সেলিনা বেগমের চুলে ধরে টেনে হেছড়ে বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানী ঘটনায়। গাছপালা কেটে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে ও ঘর থেকে নগদ ১ লাখ টাকা লুট করা হয়।
এ বিষয়ে রিজ্জাদ হোসেন বলেন, একই গ্রামের জুমান আলী পীরসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৭/৮ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে ছাতক থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
জুমান আলী পীর এর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
ছাতক থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় দু-পক্ষই পৃথক দুটি মামলা দিয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।